কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার স্থানান্তর, বিভ্রান্তিতে যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুন, ২০২৩, 10:48 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ জুন, ২০২৩, 10:48 AM

কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার স্থানান্তর, বিভ্রান্তিতে যাত্রীরা
আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার স্থানান্তর করা হয়েছে। টিকিট দেওয়া হচ্ছে শহরতলি আট নম্বর প্লাটফর্মের টিকিট কাউন্টার থেকে। অর্থাৎ যে কাউন্টারে নারায়ণগঞ্জের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেত, সেখানে এখন পাওয়া যাচ্ছে কমিউটার ট্রেনের টিকিট। হঠাৎ কাউন্টার স্থানান্তর হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।
রোববার (২৫ জুন) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে বাঁশের ছয়টি গেট তৈরি করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। সেখানে ট্রেনের টিকিট ও এনআইডি কার্ড চেক করা হচ্ছে। বাঁশের গেটের পেছনের অংশে কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকিট কাউন্টার। কাউন্টারের উপরে লাল একটি ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে— ‘কমিউটার ট্রেনের টিকিট নারায়ণগঞ্জ (শহরতলি) ট্রেনের টিকিট বিক্রয় কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে।’
বর্তমানে টিকিট চেকিং পেরিয়ে কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে আসার কোনো সুযোগ নেই। তাই যাত্রীরা টিকিট চেকিংয়ের সামনে এসে আবার ফিরে যাচ্ছেন আট নম্বর শহরতলি প্ল্যাটফর্মের দিকে। এতে যাত্রীদের ২০০ থেকে ২৫০ মিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে। তবে আজ প্রবেশমুখে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৪ জুন) ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে এটি চোখে পড়েনি।
দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের যাত্রী সোহরাব আলী বলেন, সব সময় তো স্টেশনের শেষ মাথায় টয়লেটের পাশেই টিকিট কাউন্টার ছিল। এখন এসে শুনি সেটা নাকি নারায়ণগঞ্জ প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখান থেকে শহরতলি কাউন্টারে যাওয়ার সহজ কোনো ব্যবস্থা নেই। সেই অনেকটা পথ ঘুরে ওই কাউন্টারে যেতে হয়। হঠাৎ করে এরকম পরিবর্তন করায় খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে এবং হাঁটতেও কষ্ট হয়েছে।
আরেক যাত্রী মিনহাজুর রহমান মিনহাজ বলেন, একটু কষ্ট করে না হয় টিকিট কাউন্টারে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়েও গন্তব্যের টিকিট মিলছে না। গন্তব্যের স্টেশন থেকে আরও অনেক দূরের গন্তব্যের টিকিট তারা কিনতে উৎসাহিত করছেন। মূলত যাত্রীদের বিভ্রান্ত করতেই ঈদের আগে তারা এসব কাজ করে।
জানতে চাইলে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারের থাকা এক বুকিং সহকারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, স্টেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে আমরা যেন শহরতলি প্ল্যাটফর্মের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করি। ঈদযাত্রা শেষ হলে আমরা আবার আমাদের নিজস্ব টিকিট কাউন্টারে ফিরে যাব।
নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিট না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কোনো বিষয় নেই। আসলে তারা যেসব গন্তব্যের টিকিট চাইছেন, সেসব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কাছে যেসব গন্তব্যের টিকিট অবশিষ্ট আছে, সেটাই তাদের জানিয়েছি আমরা।
কাউন্টার স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবার কমিউটার ট্রেনের কাউন্টার সরানো হয়েছে। গতবার আমরা স্টেশন ব্যবস্থা শক্ত করেছিলাম। কিন্তু কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার আগের জায়গায় ছিল। গতবার ঈদের আগের দিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। প্রচুর মানুষ প্ল্যাটফর্মে ঢুকে গিয়েছিল। এবার যেন একেবারেই কোনো মানুষ ঢুকতে না পারে, তাই বিড়ম্বনা এড়াতে তাদের শহরতলি প্ল্যাটফর্মের কাউন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে।