ঢাকা ১৭ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পথে থেমে গেল মধুমতি ট্রেন অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ১০ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দল ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০ জন

সিলেটে সাব-স্টেশনে বন্যার পানি, বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ মে, ২০২২,  12:44 PM

news image

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। নগরীর উপশহর ও দক্ষিণ সুরমাসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুতের সাব স্টেশন পানিতে তলিতে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। 

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীসহ জেলার দুই নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি সিলেট সদর পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ১৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোর মানুষ ভুগছেন দৈনন্দিন ব্যবহার্য ও খাওয়ার পানির সংকটে। এ অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন দক্ষিণ সুরমার উপজেলার বাসিন্দারা। সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ের প্রায় সব এলাকাই বন্যাকবলিত হওয়ায় ৪২ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

দক্ষিণ সুরমার পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে সিলেট নগরীর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর অধীনে থাকা শাহজালাল উপশহর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন।

বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন জানান, শাহজালাল উপশহর সাব স্টেশনে এখনো পানি ওঠেনি। তারপরও বিদ্যুৎ বন্দ রাখা হয়েছে। কারণ উপশহরের প্রায় সব বাসার বিদ্যুতের মিটার নিচতলায় বা আন্ডারগ্রাউন্ডে। যার ফলে সব মিটারই এখন এই বন্যার পানির নিচে। এ অবস্থায় কোনোভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না। বিকল্প উপায় হিসেবে পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে পানি ওঠানোর ব্যবস্থা করা যেত, কিন্তু সেটাও সম্ভব হবে না। কারণ বেশিরভাগ মোটর জলমগ্ন রয়েছে। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে যে হারে পানি বাড়ছে মনে হচ্ছে না এত তাড়াতাড়ি পানি নামবে। তবে আমরা আজ বুধবার উপশহরের ৩০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। প্রায় ৭০ ভাগ এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ দেওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, ‘কিছু জায়গায় সাব স্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার কিছু জায়গার বাসা বাড়ির মিটার ডুবে গেছে। চলমান এই বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি উপজেলাতেও বিদ্যুৎ এ কারণে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে নগরীর ভেতরের কয়েকটি এলাকা ও নগরীর বাইরের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। পানি না কমার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা সম্ভব না।’ 

এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২২ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘২১ ও ২২ তারিখ বৃষ্টি বাড়বে। তবে ২২ তারিখের পর বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে। সিলেটের উজানে ভারতের দিকেও আগামী দুই তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু এখন প্রি মনসুন (বর্ষার আগের মাস) চলছে তাই সারা মাসই সিলেটে কম বেশি বৃষ্টি হবে।

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির