শুভ জন্মদিন, রেলওয়ের আলোকবর্তিকা ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেনঃ মনিরুজ্জামান মনির
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ এপ্রিল, ২০২৫, 2:13 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ এপ্রিল, ২০২৫, 2:13 PM

শুভ জন্মদিন, রেলওয়ের আলোকবর্তিকা ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেনঃ মনিরুজ্জামান মনির
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা ও আশাবাদের নিবেদন বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে ২৫ এপ্রিল তারিখটি এখন শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডারের দিন নয়—এটি এক যুগান্তকারী নেতৃত্বের জন্মদিন, একটি আলোকবর্তিকার আগমনের দিন। এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব, যিনি আজ রেলওয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধতা, আধুনিকীকরণ এবং কর্মচারী-স্বজনবান্ধব নীতির প্রতীক—মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেন।
প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাঁর উত্থান এক অভাবনীয় ঘটনা। টাঙ্গাইল জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এই মানুষটি অদম্য শ্রম, সততা ও প্রশাসনিক প্রজ্ঞার বলে আজ দাঁড়িয়ে আছেন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাষ্ট্রীয় সেবাখাতের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে। একসময় দুর্নীতি ও নৈরাজ্যে বিপর্যস্ত রেলওয়ে আজ তাঁর হাতে পেয়েছে নতুন দিগন্তের খোঁজ।
শুদ্ধতা ও সাহসের প্রতীক
আজকের বাংলাদেশ রেলওয়ে উন্নয়নের যে পথে হাঁটছে, তার কেন্দ্রে আছেন মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সিগন্যালিং উন্নয়ন, আন্তঃনগর ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা কিংবা ডিজিটাল সেবার প্রসার—সবখানেই তাঁর সুদূরদর্শিতা ও প্রশাসনিক পরিশীলন দৃশ্যমান। সবচেয়ে বড় কথা, তাঁর নামে কোনো অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি কিংবা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ নেই। তিনি শুধু একজন দক্ষ প্রকৌশলী নন, একজন নীতিনিষ্ঠ রাষ্ট্রকর্মী।
এই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক সংস্কৃতিতে একজন সৎ কর্মকর্তা হিসেবে টিকে থাকাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, সেখানে তিনি প্রমাণ করেছেন—যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও আদর্শের জয় অবশ্যম্ভাবী। আজ তাঁর জন্মদিনে আমরা তাঁকে শুধু অভিনন্দনই জানাই না, বরং তাঁর মতো নেতৃত্ব আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আরও প্রয়োজন—এই দাবিও তুলি।
রেলওয়ে: শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, একটি পরিবার
বাংলাদেশ রেলওয়ে শুধুমাত্র একটি যাতায়াত ব্যবস্থা নয়—এটি একটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান, একটি পরিবার। এখানে কাজ করেন হাজার হাজার কর্মচারী, আর তাঁদের সন্তান ও উত্তরাধিকারীরা গড়ে তুলেছে একটি বৃহৎ পোষ্য সমাজ। এই পোষ্যরা দাবি করে আসছে একটি ন্যায্য অধিকার—পোষ্য কোটা।
এই কোটা শুধুমাত্র একটি চাকরির সুবিধা নয়; এটি হলো রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার প্রতীক। একটি পরিবারে যে সন্তান পিতার রেলওয়ে জীবনের চেয়ে রেল স্টেশনের গন্ধ বেশি পেয়েছে, যার শৈশব কেটেছে কোয়ার্টারের উঠানে, তার জন্য এই কোটা একটি স্বীকৃতি—একটি সম্মান।
পোষ্য কোটা সংরক্ষণে মহাপরিচালকের সম্ভাব্য নেতৃত্ব
বর্তমানে যখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নানা কোটা বাতিল ও সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, তখন পোষ্য কোটার প্রশ্নটি আবারও সামনে এসেছে। আমরা মনে করি, পোষ্য কোটাকে রক্ষা করা শুধুই একটি মানবিক দায়িত্ব নয়—এটি রেলওয়ের উত্তরাধিকার রক্ষার দায়িত্বও বটে।
এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী যে, মহাপরিচালক আফজাল হোসেন পোষ্যদের এই ন্যায্য দাবিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন। কারণ, তিনি শুধু অবকাঠামো নির্মাণে দক্ষ নন, বরং কর্মচারী স্বজনদের মানবিক দিকও গভীরভাবে অনুধাবন করেন।
আমরা মনে করি, তাঁর নেতৃত্বেই পোষ্য কোটার পূর্ণমাত্রায় সংরক্ষণ এবং নীতিগত স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব। তিনি যদি এই দাবিকে আন্তরিকভাবে উপস্থাপন করেন, তবে তা হবে শুধু রেলওয়ের পোষ্য সমাজের জন্য নয়—সমগ্র প্রশাসনিক শুদ্ধাচার কাঠামোর জন্য একটি উদাহরণ।
ভবিষ্যতের রেল: আধুনিক, টেকসই ও মানবিক
রেলওয়ের ভবিষ্যৎ আজ আর শুধু ইঞ্জিন ও রেলের গতি নির্ভর নয়। এটি নির্ভর করছে একটি বহুমাত্রিক ব্যবস্থাপনায়—যেখানে প্রযুক্তি, শৃঙ্খলা, সেবার মনোভাব এবং মানবিক মূল্যবোধ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন এই বিষয়গুলোকে সমন্বয় করে ভবিষ্যতের একটি রেল কল্পনা করছেন। তিনি ডিজিটাল টিকিটিং সিস্টেমকে আরও আধুনিক করছেন, মালবাহী পরিবহনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছেন এবং আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগে উদ্যোগ নিচ্ছেন। এসবই ইঙ্গিত দেয়, রেলওয়ের ভবিষ্যৎ শুধু চলার নয়, এগিয়ে যাওয়ারও।
উপসংহার: এক আলোকিত যাত্রার সারথির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা শুধু শুভ জন্মদিন জানাচ্ছি না—আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এক নিরলস, স্বচ্ছ ও সাহসী যাত্রার সারথিকে। তাঁর হাত ধরে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ রেলওয়ে শুধু অবকাঠামোতে নয়—নৈতিকতা ও মানবিকতায়ও আরও সমৃদ্ধ হবে।
আমরা আশাবাদী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেন তাঁর প্রশাসনিক প্রজ্ঞা দিয়ে পোষ্য কোটাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পূর্ণমাত্রায় সংরক্ষণে কার্যকর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবেন। এই কর্মসূচি তাঁর নেতৃত্বকে আরও মানবিক, আরও ঐতিহাসিক করে তুলবে।
শুভ জন্মদিন, মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেন। আপনার জীবন হোক দীপ্তিময়, আপনার হাত ধরে রেলওয়ে হোক জাতির গৌরব।
সভাপতি - বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি