রেলপথ মন্ত্রী নোংরা হাতে বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতেই আউটসোর্সিং এর পক্ষে- মনিরুজ্জামান মনির
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ অক্টোবর, ২০২২, 7:42 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ অক্টোবর, ২০২২, 7:42 PM

রেলপথ মন্ত্রী নোংরা হাতে বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতেই আউটসোর্সিং এর পক্ষে- মনিরুজ্জামান মনির
বাংলাদেশ রেলওয়েতে টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিক হিসাবে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ীকরণ না করে টিএলআর/ অস্থায়ী শ্রমিকদের পরিবর্তে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সেবা গ্রহণের নামে নোংরা হাতে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে জনবল নিয়োগের কাজ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে রেলপথ মন্ত্রী।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদে কর্মরত টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে চাকরি করে আসলেও তাদের স্থায়ীকরণ করা হচ্ছে না। অনেকেই দীর্ঘ ৫-৮-১০-১২ বছর ধরে টিএলআর শ্রমিক হিসাবে চাকরি করে আসছেন। কিন্তু নিয়োগ বিধি ২০২০ অনুমোদন হওয়ার পর থেকে টিএলআর শ্রমিকরা চাকরিচ্যুত হওয়ার পথে। কর্মরতরা অন্যকোন চাকরিতে প্রবেশের সুযোগও পাবেন না। অন্যদিকে গত ৩-৪ মাস থেকে বেতন—ভাতা না পাওয়ায় টিএলআর/অস্থায়ী শ্রমিকরা পরিবার—পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ ০৩/০৫/২০০৩খ্রি. তারিখে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি আদেশ মপবি/কঃবিঃশাঃ/কপগ—১১/২০০১—১১১ এর ৫নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “বর্তমানে রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে সৃষ্ট পদ ৫ (পাঁচ) বছর এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদ ৩ (তিন) বছর পর স্থায়ী করার যে বিধান রয়েছে তা রহিত করে রাজস্ব খাতে অস্থায়ীভাবে সৃষ্ট এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত উভয় ধরণের ৩ (তিন) বছর পর স্থায়ী করা যাবে।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি গত প্রায় ২০ বছর যাবত রেলওয়েতে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হাজার হাজার শ্রমিক এ আদেশের উপর ভিত্তি করে মহামান্য আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদের নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করেছেন। যে আদেশ দ্বারা আদালতের রায়ে রেলওয়ে কতৃর্পক্ষ অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ করছে, সেই সরকারি আদেশের পূর্ণবাস্তবায়ন করলে শ্রমিকদের আর আন্দোলন—সংগ্রাম বা আদালতের আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হয় না। টিএলআর বাতিল করে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের পায়তারা চলছে। এ অবস্থায় বেকারত্বের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে চরম মানসিক অশান্তিতে দিনযাপন করছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি চাই। আউটসোর্সিং নামের দাসত্ব প্রথা চালুর পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।