রেলওয়ে আইন বাস্তবায়ন হলে রেলপথে মৃত্যুর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব : মোঃ মনিরুজ্জামান মনির
নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুলাই, ২০২২, 5:41 PM

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুলাই, ২০২২, 5:41 PM
রেলওয়ে আইন বাস্তবায়ন হলে রেলপথে মৃত্যুর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব : মোঃ মনিরুজ্জামান মনির
৩০ জুলাই -২০২২ : রেলওয়ে আইন বাস্তবায়ন হলে রেলপথে মৃত্যুর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। তিনি বলেন রেলওয়ে আইন অনুযায়ী রেললাইন এর উভয় পাশে ১০ ফিটের মধ্যে মানুষ,যানবাহন এমনকি পশুপাখিও চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সকলে জানার পরেও না জানার ভান করে অপপ্রচারে লিপ্ত। দেশের প্রতিটি রেলত্রুসিং এ গেইট কিপার রয়েছে এবং অরক্ষিত রেলত্রুসিং এ সর্তকমুলক সাইনবোর্ড আছে। তদুপরি সকলে দেখেও কানার মত চলাচল করে। রেলপথে ট্রেন চলাচল নিরাপদ করতে দায়িত্বরত গেইট কিপারগন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশে রেলওয়ে কর্মচারী নির্যাতন যেন আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়িছে।
রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির আরও বলেন সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ট্রেন দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ রেলপথ সংস্করণে রেলমন্ত্রীর নজর না থাকলেও ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিতে নিয়োগ বানিজ্য করতে নিয়োগ বিধি ২০২০ সংশোধন না করেই জনবল নিয়োগের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। অরক্ষিত রেলক্রসিং গুলোতে কোন গেইট কিপার ও গেইট থাকেনা। আবার যে সকল রেলক্রসিং গুলোতে গেইট কিপার রয়েছে তারাও বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের। দুর্ঘটনায় পর তদন্ত কমিটি গঠন হয় কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখতে পায় না। প্রতিটি দুর্ঘটনার পরে রেলপথ মন্ত্রনালয়কে কিছুটা তৎপর হতে দেখা গেলেও কিছু দিন সব হারিয়ে যায়। আর সব দোষ যেন সাধারণ রেলওয়ে কর্মচারীর। রেলপথ মন্ত্রনালয় রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী কারণ সেখান থেকে বড় ধরনের % পকেটে প্রবেশ করে। দুঃখ জনক হলেও সত্য যেখানে শিরোনাম হওয়া উচিত ""রেললাইনে মাইত্রুোবাস উঠে পড়ায় প্রান গেল ১১ জনের"" কিন্তু শিরোনাম হচ্ছে উল্টো ""মাইত্রুোবাসের উপর উঠে গেল ট্রেন""। প্রশ্ন হচ্ছে ট্রেন কি রেললাইনের বাহিরে গিয়ে সড়কের মধ্যে প্রবেশ করে মাইত্রুোবাস এর উপরে উঠেছে ? বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনায় বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রনালয় চরমভাবে ব্যার্থ। বিভিন্ন বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিরোধী এখন তুঙ্গে। রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তা রেলপথের উন্নয়নের চাইতে তাদের নিজেদের উন্নয়নের জন্য রেলপথ মন্ত্রীর সাথে জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করতেই দিন শেষ করেন।
রেলপথের দুর্ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় তারা পায় না। কিন্তু সহজ এর অনলাইন টিকিট সিস্টেম এর দূর্নীতি আড়াল করতে কয়েক জনকে অংশীজন সভার সদস্য করে সহজকে বাঁচানোর নাটক সুন্দর করতে পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন সঠিক ভাবে রেলপথ পরিচালনায় নিয়োগ বিধি সংশোধন করে জনবল নিয়োগ এর বিকল্প নাই। পদন্নোতি যোগ্য পদগুলোতে সরকারি জনবল নিয়োগ না করে পদন্নোতি দেওয়া প্রয়োজন। গেইট কিপারদের অনিশ্চিত জীবন থেকে মুক্তি দিতে তাদের চাকরি স্থায়ী করা উচিত। তীব্র জনবল সংকট সমাধান না করে একজন কর্মচারীকে দিয়ে তিনজনের কাজ করা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী রেলওয়ে কর্মচারীদের অধিকার বঞ্চিত করার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। মন্ত্রীর স্বৈরাচারীতা মূলক কর্মকান্ডে সারাদেশের রেলওয়ে কর্মচারীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজমান।
রেল দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।