বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অব্যবস্থাপনার জন্য রেলপথ মন্ত্রনালয়কে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির। 

তিনি বলেন অনলাইনে টিকিট বিত্রুির জন্য কোন প্রতিষ্ঠান ভালো, কোন প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে,সেই বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রনালয় তা না করে অসৎ সুবিধা নিয়ে একটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে টিকিট বিত্রুির দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের দোষ দেওয়া ঠিক নয়। কারণ বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের কাঠের পুতুলে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি, জিএম,ডিআরএম সহ রেলওয়ের সকল কর্মকর্তা রেলপথ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পালন ছাড়া কিছুই করেন না। বাংলাদেশ রেলওয়ে তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। রেলপথ মন্ত্রনালয় পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তারা অ-পরিষ্কার হাতে কেনাকাটা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, টেন্ডার, উন্নয়ন প্রকল্প,পরিদর্শন, আউটসোসিং সহ বিভিন্ন প্রকার অপ্রয়োজনীয় কাজ করে যাচ্ছে কারণ সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা % পেয়ে থাকেন। ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন এর জন্য গঠিত কমিটি এক মাসের মধ্যে নিয়োগ বিধি সংশোধন করতে পারেন কিন্তু কমিটিকে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করতে চাপ প্রয়োগ করতে না পারলেও ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধি অনুযায়ী জনবল নিয়োগ করতে তাড়াহুড়ো করতে ভালোই পারছেন। অসম্পূর্ণ নিয়োগ গুলো সম্পুর্ন করতে না পারলেও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করতে যুদ্ধ করতে দেখা যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রনালয়কে। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু বরণকারী রেলওয়ে কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগ এর ক্ষমতা বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। জনবল নিয়োগ, পদন্নোতি সহ  বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল/পশ্চিমাঞ্চল এর জিএম দপ্তরের কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে রেলওয়ে পরিচালনার কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। বর্তমানে একজন সুইপারও নিয়োগ এর কাজ রেলপথ মন্ত্রনালয় করবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা টিকিট না পেলেও রেলপথ মন্ত্রনালয়ের কর্তাবাবুরা ও তাদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজনদের জন্য টিকিট সংরক্ষিত থাকে তারা টিকিট চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান সংকট এর জন্য দায়ী রেলপথ মন্ত্রনালয়।