ঢাকা ১৭ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটিতে পথে থেমে গেল মধুমতি ট্রেন অতি ভারী বৃষ্টির আভাস, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ১০ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলগেটে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দল ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে নিহত ৩৯০ জন

দাবি আদায়ে গেটকিপাররা রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মার্চ, ২০২২,  1:24 PM

news image

আমরণ অনশনের ১৫ দিন পরেও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় এখন রেলভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করছেন গেটকিপাররাআমরণ অনশনের ১৫ দিন পরেও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় এখন রেলভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করছেন গেটকিপাররা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘বাংলাদেশ রেলওয়ের মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ১ হাজার ৮৮৯ জন গেটকিপারের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে কমলাপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন পালন করেছেন রেলওয়ের গেটকিপাররা। কিন্তু আমরণ অনশনের ১৫ দিন পরেও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় এখন রেলভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। 

আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে রেলভবনের সামনে অবস্থান নেন রেলওয়ের গেটকিপাররা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের আমরণ অনশন এখনো চলছে। দীর্ঘ সময় অনশনের ফলে এরই মধ্যে দেড় শতাধিক গেটকিপার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

অনশনে অংশ নেওয়া গেটকিপাররা বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে কমলাপুরের খোলা আকাশের নিচে আমরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছি, অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কারও চোখে পড়ে না আমাদের দাবির বিষয়টি। রেলপথ মন্ত্রণালয় ঘুমিয়ে আছে। তাই আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আজ আমরা রেলভবনের সামনে অবস্থান করছি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।’ 

গেটকিপারদের অনশনের সমন্বয়কারী মো. আল মামুন শেখ বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পে কর্মরত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ীকরণে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি, আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেনি। নিয়োগের সময় গেটকিপারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সাকল্যে ১৪ হাজার টাকা। বিগত পাঁচ বছরে এই বেতন বাড়েনি। বেশির ভাগ গেটকিপার তাঁদের নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বাসাভাড়া, পরিবারের ভরণপোষণ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। অন্যদিকে প্রায় সবার বয়স ৩২ বছর অতিক্রম করায় অন্য চাকরিতেও ঢোকার সুযোগ নেই। তাই অতি দ্রুত আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ী করার ঘোষণা দিতে হবে রেল মন্ত্রণালয়কে।’ 

উল্লেখ্য ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন’ এবং ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প দুটি ২০১৫ সালের ২৫ জুন একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। মূল প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি একনেক সভার নির্দেশনাক্রমে পূর্বাঞ্চলে ৮২৯ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৮৫১ জনকে গেটকিপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাই প্রকল্প দুটির আওতায় সংস্থানকৃত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

logo
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মনিরুজ্জামান মনির