টিকিটিং অ্যাপস ‘সহজ’র নতুন সিস্টেমের কাছে অসহায় রেল প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মার্চ, ২০২২, 9:37 AM

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মার্চ, ২০২২, 9:37 AM
টিকিটিং অ্যাপস ‘সহজ’র নতুন সিস্টেমের কাছে অসহায় রেল প্রশাসন
সহজ’র মাধ্যমে রেলের নতুন ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালুর দিনেই ভোগান্তিতে
পড়েছেন যাত্রীরা; টিকেট তো দূরের কথা নতুন ওয়েবসাইটে ঢোকাই যাচ্ছিল না।
ই-টিকেটিংয়ের নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার সহজ লিমিটেডের দাবি, প্রথম দিনই তারা ‘সাইবার আক্রমণের’ শিকার হয়েছে।তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সাইবার আক্রমণের কথা তাদের জানা নেই। তারা জেনেছেন, টিকেট কাটার চাপে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া সুবর্ণা, গোধূলী, সোনার বাংলা, তুর্ণানিশিথাসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কিনতে দুপুর থেকেই যাত্রীরা লাইনে ছিলেন। এরই মধ্যে অনেকেই লাইন ভেঙে যাওয়ার ভয়ে সময়মতো দুপুরের খাবারও খেতে পারেননি। তবে টিকিটিং অ্যাপস ‘সহজ’র এই নতুন সিস্টেমের কাছে অসহায় রেল প্রশাসন।
চট্টগ্রামের টিকিটের তদারকির দায়িত্বে থাকা নতুন ডিসিও ইতি ধর বুঝে উঠতে কষ্ট হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন। এসব দেখে রমজানে টিকিটের কি অবস্থা হবে, আদৌ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হবে কি না সেই প্রশ্ন রেল সংশ্লিষ্টদের। তবে সবমিলিয়ে বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তির মধ্যেই টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা। টিকিট নিতে আসা যাত্রীরা বলেন, দুপুর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পেয়ে ফেরত এসেছি।
অনলাইনেও টিকিট নিতে অনেক কষ্ট। নতুন সিস্টেমে কাজ হচ্ছে শুনলাম। তারপরও অনেক বিশৃঙ্খলা দেখেছি। এভাবে টিকিট বিক্রি করলে যাত্রীদের কষ্ট আরও বাড়বে।
রেলের পূর্বাঞ্চলের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন বলেন, নতুন অ্যাপসের মাধ্যমে ২৬ মার্চ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এই ‘সহজ’ অ্যাপসে অনলাইনে বৃহস্পতিবার থেকে ২৬-২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে শুরুর দিকে কিছুটা তো সমস্যা হবেই। সহসাই সমাধান হবে বলে জানান তিনি। এদিকে, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলছেন, সিএনএসের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি।সেই সিএনএসের কিছু স্টাফ কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই অভিযুক্তদেরও সহজে যুক্ত করা হয়েছে। অনেক আইনি জটিলতা পেরিয়ে নতুনভাবে টিকিটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি এখন থেকে আর অনলাইন টিকিটিংয়ে কোনো সমস্যা হবে না।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নানা কারণে ট্রেনের টিকিটিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) লিমিটেড থেকে সহজকে টিকিট বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে সহজের মাধ্যমেই দেশের সব ট্রেনের যাত্রীরা অনলাইনসহ নানাভাবে টিকিট কিনতে পারবেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য টিকিট বিক্রির জন্য ‘সহজ’ লিমিটেডের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চুক্তিতে প্রতিটি টিকিট ইস্যুর জন্য সহজ (জেভি) কমিশন নেবে ২৫ পয়সা। একই কাজের জন্য ২ টাকা ৯৯ পয়সায় চুক্তি ছিল সিএনএসের সঙ্গে। এখন রেলওয়ের বছরে কমিশন বাবদ সাশ্রয় হবে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। এটি রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী ও সহজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ২৫ ফেব্রুয়ারি চুক্তিপত্রে সই করেন।